ফুটবল বিশ্বে সর্বোচ্চ সমার্থকধারী দুই দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল।আবার চির প্রতিদন্দির তালিকায় ও প্রথম আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কেউ কারো থেকে কম নয়, তবে অর্জনে রয়েছে কিছুটা উনিশ-কুড়ি।
চলছে ফিফা বিশ্বকাপ (২০২২) বাছাই পর্ব ও কোপা আমেরিকা (২০২১)। দুই দলই তাদের শ্রেষ্ঠত প্রমানে বেজাই ব্যস্ত। ফিফা(২০২২) বিশ্বকাপের হাওয়া ঠিকভাবে না লাগতেই ঝড় উঠেছে সতীর্থদের মাঝে।মাঝেমধ্যেই তুই দলের সমার্থকরা তুমুল বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পরে।
এবার আসি পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল প্রথম মুখোমুখি হয় ২০সেপ্টেম্বর ১৯১৪ তে উক্ত খেলার ফলাফল ছিল (আর্জেন্টিনা ০৩ – ব্রাজিল ০০)।দুইদল মোট ১০৫ বার মুখোমুখি হয়েছে যার মধ্যে ব্রাজিল জয় পেয়েছে ৪০টাতে আর আর্জেন্টিনা ৩৬টায়। ড্র হয়েছে ২৫ টি ম্যাচ।ব্রাজিল আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে গোল করেছে মোট ১৬৩টি আর আর্জেন্টিনা করেছে ১৬০টি গোল।ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিল কাপ পেয়েছে মোট ৫ বার (১৯৫৮,১৯৬২,১৯৭০,১৯৯৪ ও ২২০২) তবে আর্জেন্টিনা পেয়েছে মোট দুইবার (১৯৭৮ ও ১৯৮৬)। এবার কোপা-আমেরিকা, কোপা-আমেরিকায় ব্রাজিল কাপ পেয়েছে ৮ বার আর আর্জেন্টিনা পেয়েছে ১৪বার।
পরিসংখ্যান যাই বলুক না সতীর্থদের বাকযুদ্ধের অবসান নাই।দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমরা ঠিক যতটা বাঙালী তার চাইতে বেশি আর্জেন্টাইন ও ব্রাজিলীয়।
তবে যে যাই বলুক তর্ক ছাড়াও দু’দলে রয়েছে কিংবদন্তি কিছু খেলোয়াড় যাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসে লিখা আছে। ব্রাজিলীয় ফুটবল মানেই যেমন পেলে,কাকা ও নেইমার জুনিয়রের মতো খেলোয়াড়ের নাম, তেমনি আর্জেন্টাইন ফুটবলেও রয়েছে কিংবদন্তি খেলোয়াড় দিয়েগো ম্যারাডোনা, গাব্রিয়েল বাতিস্তা ও নিওনেল মেসি। এই খেলোয়াড়দের রয়েছে নিজস্ব খ্যাতি ও সমার্থক যা খেলার মাঠে তাদের প্রাণশক্তি যোগায়।
আগামি বছর আসছে ফিফা২০২২ বিশ্বকাপ।উক্ত বিশ্বকাপ ঘিরে ফুটবল সতীর্থদের মাঝে চলছে নানা তোড়জোড় ও প্রচার প্রচারণা। কেউ উড়াচ্ছে প্রিয়দলের পতাকা আবার কেউবা গায়ে দিচ্ছে প্রিয় খেলোয়াড়ের জার্সি।সবার প্রত্যাশা একটাই তাদের সমর্থিত দল যেন জয়ী হয়।এখন দেখাযাক সমার্থকরা তাদের প্রিয় দল থেকে আশানুরূপ ফলাফল পায় কিনা।