1. rana.bdpress@gmail.com : admin :
  2. admin@dailychandpurjamin.com : mazharul islam : mazharul islam
  3. rmctvnews@gmail.com : adminbd :
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২, উদ্যোগে  বাড়ির মালিক শ্রমিকদের  যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কুড়িগ্রাম ৩ জন কুখ্যাত মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ শাল্লায় শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়ায় দায়িত্বরত সেবাইতকে মহন্ত টিকা প্রদান স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম খালিয়াজুরীতে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৭ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন বর্তমান এমপি তুহিন রাঙ্গাঝিরি মোঃ ইউনুছ চৌঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ ১ আসনে চমক দেখালেন রঞ্জিত সরকার তাজরীন ট্রাজেডির ১১ বছর: নিহতদের প্রতি বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা বাঁশের ব্রীজই এখন এলাকাবাসীর ভরসা

এ যুগের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা

এ যেন আরেক হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তবে পার্থক্য শুধু এটুকুই গল্পের সেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিল ইঁদুর ও শিশুরা। আর যশোরের কেশবপুরের এই বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরে মৌচাক থেকে বেরিয়ে আসে মৌমাছি।
বাঁশি বাজালেই হাজার হাজার মৌমাছি এসে যার শরীরে বসে তিনি হলেন মৌয়াল মহাতাব মোড়ল। যশোরের কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের টিটা মোমিনপুর গ্রামে তার বাস। গতকাল সরেজমিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ৪০ বছর বয়সী মহাতাব মোড়ল ওরফে মধু মহাতাবের হাতে লম্বা এক বাঁশি। হলুদ রঙের হাফপ্যান্ট পরে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে। বাঁশির এক অচেনা সুরের আকর্ষণে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে বসতে শুরু করে তরা শরীরে। একসময় পরিণত হয় মৌচাকে। মৌমাছির ঝাঁক তার শরীরজুড়ে বসে। এ পরও তিনি হাজার হাজার মৌমাছি শরীরে নিয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে আছেন জীবন্ত মৌচাক হয়ে। এই বিশেষ কার্মকা-ের জন্য এলাকায় তিনি মধু মহাতাব নামে পরিচিতি।
কেন এই অদ্ভুত ও ঝুঁকিপূর্ণ খেলায় মেতে ওঠেন মহাতাব? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১২ বছর তখন থেকেই আমি মজার ছলে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে শুরু করি। ২০ বছর আমি মধু সংগ্রহকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। প্রথমে একটি-দুটি মৌমাছি শরীরে নিতে নিতে এখন হাজার হাজার মৌমাছি আমার শরীরে বসলে কিছুই উপলব্ধি করতে পারি না। বিষয়টি আমার জন্য সহজ হয়ে গেছে।’

এই বিস্ময়কর প্রসঙ্গে মহাতাব আরও বলেন, এ জন্য শরীরকে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে হয়। প্রথমে মধু সংগ্রহের বালতি বাজালেই অল্প কিছু মৌমাছি তার শরীরে এসে বসত। এর পর তিনি বালতির পরিবর্তে থালা বাজিয়ে মৌমাছিকে তার শরীরে বসাতে শুরু করেন। এখন তিনি বালতি, থালার পরিবর্তে বাঁশি বাজান আর সেই বাঁশির অচেনা সুরের আকর্ষণে ঝাঁকে ঝাঁকে তার শরীরে মৌমাছি এসে বসতে শুরু করে। একসময় পরিণত হয় মৌচাকে। তিনি আরও জানান, সরকারি কোনো অনুদান পেলে নিজ বাড়িতে মৌমাছির চাষ করবেন।
টিটা মোমিনপুর গ্রামের মৃত কালাচাঁদ মোড়লের ছেলে মহাতাব। ১৫-২০ বছর ধরে নিজ এলাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে মধু সংগ্রহ করাই তার পেশা। এ পেশায় উপার্জিত অর্থেই স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে চলে তার পরিবার। ছেলে বর্তমানে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।
মধু মহাতাব প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, তাকে কৃষি অফিস থেকে ট্রেনিং দিয়ে যদি কোনো সহযোগিতা করা যায় তা হলে আমরা সেটা করব।

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2021 rmcnewsbd
Theme Developed BY Desig Host BD