আজ ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সারাদেশ ব্যপী সর্বাত্বক লকডাউন এর কারণে যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ ঘোষণায় সিলেটে বিরাজ করছে এল থমথমে অবস্থা। আর এজন্যই পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু করে প্রথম রোজার ইফতারি সবই ছিল সাদামাটা বা ছিলনা কোন উৎসবের আমেজ। জনসাধারণের বিনা প্রয়োজনে বা পুলিশের দেয়া মুভমেন্ট পাস ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ায় আছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। এমতাবস্থায় সকলের মন এক অজানা বিষণ্ণতায় আছন্ন। তার সাথে করোনা মহামাড়ীর প্রভাবেও দিশাহারা দেশবাসী। তারা নিশ্চিত নয় কবে শেষ হতে পারে এই লকডাউন বা করোনার মায়াজাল। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে সমাজের গরীব দু:খী মেহনতি শ্রেনীর মানুষ,যারা দিন আনে দিন খায়। বর্তমানে তাদের আয় রোজকার প্রায় বন্ধ থাকায় লকডাউনকে তারা খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না। কেউ কেউ আবার করছে ঘোর বিরোধিতা। তবে পুলিশের কড়া পাহারাতে সকলে লকডাউন মানতে বাধ্য হচ্ছে । যদিও ফার্মেসী, কাঁচামাল ও ভোজ্যপণ্যের দোকান সহ রাস্তার অলি গলিতে কিছু চায়ের দোকানও খোলা দেখা গিয়েছে। আর রাস্তায় কিছু রিক্সা,সাইকেল, বাইক ও অনুমিত কিছু গাড়ি ছাড়া তেমন কিছু চোখে পড়ে নাই। দিনে মানুষের তেমন চলাচল না থাকলেও ইফতারি শেষে নামাজের পর কিছু মানুষকে অল্প সময়ের জন্য হলেও বাইরে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য শাবিপ্রবিতে আজ সারাদিনই ছিল প্রবেশিধিকার সংরক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, কর্মকতা, শিক্ষক ও গণমাধ্যম ছাড়া কারো আনাগোনা ছিল না বলে জানা যায়। এই অবস্থা নিয়ে শাবিপ্রবি প্রক্টর স্যার আর এম সি টিভিকে বলেন, দেশকে করোনার ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করতে এই লকডাউন এর বিকল্প নেই এবং আমাদের সকলের উচিৎ সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ মেনে চলা।