গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাঙ্গালহাওলা ও দুবার্টি গ্রামে কৃষি অধিদফতর কর্তৃক ৫০ একর জমির জন্য বোরো (হাইব্রিড) হীরা-৪ জাতের ধান ট্রে পদ্ধতিতে বীজ বপন করা হয়। পরে ট্রে পদ্ধতির বপন করা সেই বীজ রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে রোপন করা হয়। রোপনের ১৪০ দিন পর কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে কাটা শুরু হয় স্থানীয় ৮০ জন উপকারভোগী কৃষকের ধান।
সোমবার (১০ মে) দুপুরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫০ একরের (১৫০ বিঘা) ব্লক প্রদর্শণী স্থাপনের হাইব্রিড হীরা-৪ জাতের বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে এ ধান কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস.এম তরিকুল ইসলাম।
উদ্বোধনকালে ডিসি এস.এম তরিকুল ইসলাম বলেন, ধান এ দেশের প্রধান খাদ্য শস্য। তাই ধান চাষাবাদের প্রতি আমাদের আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রতি নজর দিতে হবে। এ জন্য সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সরকার ধান কাটার মেশিনে আগ্রহী কৃষককে ৫০% ভর্তূকিতে কম্বাইন হারভেস্টার প্রদান করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকটের কথা মাথায় রেখে আধুনিক ধান কাটার কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করেছে সরকার। এতে কৃষকের সময় ও অর্থ দুইই সাশ্রয় হবে। তাই কৃষকদের ধান কাটার শ্রমিকদের উপর নির্ভর না করে যন্ত্রের ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালাক মো. মাহবুব আলম, ফার্ম মেশিনারী ডিভিশনাল প্রধান ড. মো. আব্দুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম।
এছাড়াও কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাঙ্গালহাওলা ও দুবার্টি গ্রামে স্থানীয় উপকারভোগী ৮০ জন কৃষক ও কৃষাণী, কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।