কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল হতে যাচ্ছে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল। তবে সাধারণ রোগী যাবে কোথায়? ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন হবে কবে? স্বপ্নের এই মেডিকেল কি স্বপ্ন রয়ে যাবে? জনমনে নানা প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে।আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেছেন সাধারণ রোগী সদর হাসপাতালে কম হলে এখানেই দেওয়া হবে চিকিৎসা। আগামীকাল (আজ) প্রর্যন্ত দেখা হবে। এরপরও সাধারণ রোগী বেশি হলে এই হাসপাতাল (সদর হাসপাতাল) করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তখন সাধারণ রোগীদের জন্য ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও আদ্-দীন হাসপাতাল ব্যবহার করা হবে। তিনি আরো জানান, আজ প্রর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে ১৩২ জন। রবিবার সকালে ৮ টা থেকে সোমবার সকালে ৮ টা পর্যন্ত ৩ জন করোনা রোগী মারা গেছে।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডাক্তার জানান, এক জায়গায় দুটি হাসপাতাল থাকলে একটি হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা যায়। অন্যথায় সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।অল্প টাকায় ভালো চিকিৎসা পাবার জন্য সাধারণ মানুষের সদর হাসপাতাল বেছে নেয়। বিশেষ করে অর্থসংকটে ভোগা মানুষে জন্য সদর হাসপাতাল শেষ ভরসা। সাধারণ মানুষের মুখে একটাই প্রশ্ন স্বপ্নের মেডিকেল কি শুধুই স্বপ্ন হয়ে থাকবে? এদিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল যদি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হয় তবে দালালদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের দৌরাত্ম বেড়ে যাবে। অনেকেই বলছেন করোনা রোগীদের ৫শ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবনে হস্তান্তর করা হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।