মধুমাস নানামুখি ফলের মাস জৈষ্ঠ্য ।
আর জৈষ্ঠ্য আসতে এখনও আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এর আগেই কেশবপুর বাজারে লিচুর উপস্থিতি জানান দিচ্ছে মধুমাস আসছে।
দেশি আগাম জাতের রসালো লিচু বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে বাজারে। আবার অনেকে লাভের আশায় আগেভাগেই বাজারে নিয়ে আসছেন অপরিপক্ক লিচু।
তবে মিষ্টি মধুর রসালো লিচুর দাম এবার বাজারে বেজায় চড়া। প্রতি ১০০টি লিচুর দাম রাঁখা হচ্ছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া শরীরে একটু কালো দাগ পড়া লিচু বিক্রয় হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। ফলে সাধ্যের বাইরে হওয়ায় আগাম লিচু কিনতে পারছে না সাধারণ ক্রেতা।
কেশবপুর বাজার, গাজীরমোড়, পাঁজিয়া রোড সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে বাহারি এ ফলের ঝুড়ি সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমী লিচু ব্যবসায়ীরা। ঝুড়ির মধ্যে চটের ভেজা বস্তা। তার ওপর সবুজ পাতায় মোড়ানো লাল আভার লিচুগুলো এখন থোকায়-থোকায় শোভা ছড়াচ্ছে। মৌসুমি ফল হিসেবে অনেকে বেশি দাম দিয়েই কিনছেন ক্রেতারা।
এক লিচু ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান, ছেলের বায়নার কারণে শনিবার সকালে কেশবপুর বাজারে লিচু কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দাম বেশি থাকায় ১০০টি লিচু কেনার ইচ্ছা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৫০টি লিচু কিনেই বাড়ি ফিরেছেন। তবে স্বাদ এবং গুণে এখনও লিচু পরিপক্ক হয়নি। কেবলমাত্র বাড়তি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে লিচু ভাঙছেন। এগুলো দেশি জাতের লিচু। স্বাদেও টক-মিষ্টি। অনেকগুলো আবার খুবই টক।
এদিকে, লিচুর জন্য যশোর বিখ্যাত না হলেও কেশবপুর অঞ্চলে উৎপাদিত হয় নানা জাতের লিচু। বৈচিত্র্যের কারণে সব ফল একই সময় পাকে না। ফলে পুরো জ্যৈষ্ঠ মাসজুড়ে বাজারে থাকে এর উপস্থিতি।