নোহালী ইউনিয়নের তিস্তার চরের মিনার বাজারে (খলাইর চর) গালামাল ব্যাবসায়ী জিয়ারুল ইসলামের মেয়ে মুনালিশা (১৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ (গংগাচড়া মডেল থানা)।
গ্রামবাসী বলেন মুনালিশা মেয়েটি অত্যান্ত ভদ্র এবং মিষ্টভাষিণী ছিলো। তার পরিবারসুত্রে জানা যায়, মুনালিশা মতের বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করেছিল তার মা যার আজকেই ফুল পড়ানো (এংগেইজমেন্ট) দিন ঠিক হয়েছিল।ঘটনাটি ঘটার দিন মুনালিশা বেশ উদ্বিগ্ন ছিলো এবং তার ঘরে কি জানি লিখতেছিলো বলে নিশ্চিত করেন তার মা।
ব্যাবসায়ীক প্রয়োজনে মালপত্র কেনার জন্য মুনালিশার পিতা জিয়ারুল নিকটস্থ পাইকারি বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় মুনালিশা তার পিতার দিকে দৃস্টি সীমানা পর্যন্ত তাকিয়ে ছিলো পিতা চোখের আড়াল হওয়ার পরে নিজ ঘরে এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে গ্রামবাসী wsbnews24 এর সাংবাদিককে জবানবন্দী দিয়েছে।গ্রামবাসী আরও জানায়,বিয়েতে অমত থাকায় মুনালিশা কে তার মা কর্তৃক নির্যাতনও করা হয়েছিল।
মুনালিশার মৃত শরীর থেকে গলায় পেঁচানো ওড়না কেটে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠেছে নিহতের মায়ের ওপর।
আত্মহত্যার বিষয়টি গ্রামবাসী থানায় অবগত করেন এবং পুলিশ আসার খবর নিহতের পরিবার জানতে পেরে মুনালিশার লাশটি তিস্তার অপর তীরে (দক্ষিণ তীড়ে) নিহতের চাচা খোকন ও মিজানের বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করার প্রস্তুতি নেয় বিপরিতপাশে পুলিশ তিস্তার বড়াইবাড়ি খেয়া ঘাটসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অবস্থান নেয় এবং তারা জানতে পারে যে লাশটি তার চাচার বাড়িতে আনা হয়েছে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ এবং মহিলা পুলিশ দিয়ে তদন্ত করে গলায় এবং শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিন্হ পায়।
লাশটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছেন গংগাচড়া মডেল থানা।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার ময়নাতদন্তের আগে মুনালিশার সঙ্গে কি ঘটেছিল তার বিশদ বর্ণনা দেয় নি ময়নাতদন্তের পরেই রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উক্ত ঘটনাটির মূল, সাক্ষী মুনালিশার ছোট বোন।
উক্ত ঘটনায় নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মঈনুল ইসলাম তপন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সুরুজ উপস্থিত ছিলেন।