1. rana.bdpress@gmail.com : admin :
  2. admin@dailychandpurjamin.com : mazharul islam : mazharul islam
  3. rmctvnews@gmail.com : adminbd :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন

চরফ্যাশনে অবৈধভাবে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগের তীর আওয়ামী লীগ নেতার দিকে

ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলাধীন দক্ষিন শিবা জমিলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ইলিয়াস মাস্টারের কারসাজিতে জাল সার্টিফিকেট ব্যাক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইলিয়াস মাস্টার মোটা অংকের টাকা খেয়ে সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগনের সাক্ষর এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে, নিয়োগ পরিক্ষা সর্ম্পূন করে।

পাশাপাশি নিয়োগ পরিক্ষায় শাহাবুদ্দিন পিতা মতলব পাটওয়ারী, মাতা ফাতেমা বেগম কে নির্বাচিত করে ইলিয়াস মাস্টার, অথচ তথ্য নিয়ে জানাজায় মোঃ শিহাব উদ্দিন পিতা আবদূর রব, মাতা আছিয়া,নামের এক ব্যাক্তির সার্টিফিকেট সহ সকল কাগজ পত্র ও ছবি দেখিয়ে শাহাবুদ্দিনকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে গত বছরের ২৮ আগষ্ট নিয়োগ দেখিয়ে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল অনলাইনে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন ।

অন্য দিকে রুপালি ব্যাংকের লিমিটেড এর চরফ্যাশন শাখায় হিসাব খোলা হয়েছে শাহাবুদ্দিন এর নামে কিন্তু এখানে পিতা মাতার নাম ব্যবহার করা হয়েছে শিহাব উদ্দিনের, যাহার হিসাব নং ৩৩৩৫০১১০১৮৫৯৭ এটিকে এমপিওর আবেদনে দেয়া হয়েছে।
নিয়োগ পরিক্ষার এক প্রার্থী চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক নুজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার সার্টিফিকেট সহ সকল কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ইলিয়াছ মাস্টারকে টাকা না দিতে পারায় হেরে গেলেন তিনি। তিনি আরোও বলেন, এই নিয়োগ স্থগিত হওয়ার পরে নতুন করে কারসাজি করে ২০১৮ সালের একটি ভূয়া নিয়োগ দেখিয়ে আবারও ইলিয়াস মাস্টারের পছন্দের প্রার্থীকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে এমন গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে।

ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান তিনি পরিক্ষার ফলাফলে সাক্ষর করেননি এবং তিনি সাক্ষর ইংলিশে করেনা , তিনি সকল খাতাপত্রে বাংলায় সাক্ষর করেন। তার সাক্ষর করা হয়েছে ইংরেজিতে।
অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সুপার মাও: আবুল বাশার জানান, তিনি চলতি বছরের ৩১ মার্চ মাদ্রাসা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি কর্মরত থাকাকালীন ওই মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কাউকে নিয়োগ দেননি। নিয়োগ প্রকৃয়ার কোনো কাগজে তিনি সাক্ষর করেনি এবং মিটিং এর বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি, তিনি আরও বলেন, তার সাক্ষরকে ইলিয়াছ মাস্টার জাল জালিয়াতি করেছে। এবং এই এমপিও যাতে না হয় সেজন্য বন্ধ রাখতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর চিঠিও দেন মাও: আবুল বাশার।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নুরুল আমিন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ওই নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই নিয়োগ তার যোগদানের আগে হয়েছে। এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদনের সময় কম থাকায় কাগজপত্র ততটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগের বিষয়টি ডিজি অফিস যাচাই-বাছাই করবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2021 rmcnewsbd
Theme Developed BY Desig Host BD