তানজিল আহমেদ রনি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি
গত ২৫ শে মার্চ’২০২১ খ্রিস্টাব্দ বেলা অনুমান ১.৪৫ টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন শংকরচন্দ্র ইউনিয়নস্থ ছয়ঘরিয়া গ্রামের সরকারি ওয়াবদা নিয়ন্ত্রিত একটি বালুমহালে দু’টি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা শুকুর আলীর সমর্থক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলী কে ছয়ঘরিয়া বালুমহালে একা পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার এর একদল উগ্রপন্থী বিপথগামী সমর্থক লোহার রড, লাঠিসোটা দিয়ে নৃশংসভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। ঐ দিনই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে, ঐ দিনই বিকাল অনুমান ৪.৩০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ২৫ শে মার্চ রাতেই চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারকে এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি করে ছয়ঘরিয়া গ্রামের মমিন, জিসান, লিমন ওরফে লিওন সহ সর্বমোট ১১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি দিয়ে জাহাঙ্গীরের পিতা রঞ্জিত মল্লিক বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা করা হচ্ছে যে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ছয়ঘরিয়া গ্রামে ওয়াবদা নিয়ন্ত্রিত একটি বালিমহালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন জেলা যুবলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা কর্মীদের মধ্যে পরস্পর বিবদমান গ্রুপিং রাজনীতির ফলশ্রুতিতে এ ধরনের একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ভবতোষ রায় তদন্তকালে মামলার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি ১। মমিন (৩২)পিতা আনাস উদ্দিন ২। জিসান(২৮) পিতা মোঃ কামাল হোসেন ওরফে লিটু ৩। লিমন ওরফে লিয়ন(২৫) পিতা আব্দুস সামাদ সর্ব সাংঃ ছয়ঘরিয়া থানা ও জেলাঃ চুয়াডাঙ্গা দের এক গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে আজ ভোর ০৫.০০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন মুন্নার মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। চুয়াডাঙ্গার আলোচিত এই জাহাঙ্গীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সর্বমোট ০৭(সাত) জনকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।