গত মাসে নুরনগরে ইউনুস মিয়ার বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় জড়িত গোপিনাথপুরের মোঃ আল- আমিন গ্রেপ্তার ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী মোহাম্মদ ইউনুস পিতা পান্তা মিয়া সাংঃ নুরনগর থানা ও জেলাঃ চুয়াডাঙ্গা থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন যে গত ১৪/০৬/২০২১ খ্রিস্টাব্দ দিবাগত রাত্রে তাদের বাড়িতে না থাকার সুবাদে অজ্ঞাত নামা চোরেরা গভীর রাতে তা বাড়িতে সংগোপনে প্রবেশ করে ঘরের তালা ভেঙে ঘরে থাকা নগদ ৫০০০০/= টাকা, অনুমান চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি দামী Xaomi Redmi-5 মোবাইল সেট সহ সর্বমোট অনুমান তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি তাৎক্ষণিকভাবে থানায় অভিযোগ বা মামলা না করলেও অনেক খোঁজাখুঁজি করে চোরের সন্ধান না পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। গত ০৬/০৭/২১ খ্রিস্টাব্দ মামলাটি রুজু করে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই/ নিতিশ চন্দ্রের উপর। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার চৌকস তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/ নিতিশ চন্দ্র গোয়েন্দা তথ্যে এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে মামলার প্রধান সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ আল-আমিন (২৫) পিতা হামিদুল ইসলাম সাং গোপীনাথপুর থানা ও জেলা চুয়াডাঙ্গা কে আজ ০৭/০৭/২১ খ্রিস্টাব্দ রাত ১২.১০ ঘটিকার সময় তার নিজ বসতবাড়ি হতে গ্রেপ্তার করেন এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চোরাই মালামালের মধ্যে দামি xaomi Redmi-5 মোবাইলটি, চোরাই মালামাল এর একাংশ স্বর্ণালঙ্কার সহ সর্বমোট দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার ও জব্দ করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয় স্বীকারোক্তি ও তার সহযোগী চোরদের নাম -ঠিকানা প্রকাশ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে । পাশাপাশি মামলার বাদীও গ্রেপ্তারকৃত আসামির দখল ও নিয়ন্ত্রণ থেকে উদ্ধারকৃত চোরাই মালামাল নিজেদের বলে শনাক্ত করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে ( ০৫) পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার ঘটনায় জড়িত অপরাপর চোরেদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা সহ চোরাই মালামাল উদ্ধারের অভিযান চলছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত
আছে।