চুয়াডাঙ্গার সরিষাডাঙ্গার আবির হত্যার মূল আসামিদের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে, আজ (৩০জুন) বুধবার
বেলা ১২ টায় দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আবিরের মা এক সংবাদ সম্মেলন করেন এ সংবাদ সম্মেলনে আবিরের মা রোজিনা খাতুন জানান,
আমি মোছাঃ রোজিনা খাতুন, স্বামী মোঃ আসাদুল হক, গ্রামঃ সরিষাডাঙ্গা, থানা ও জেলা- চুয়াডাঙ্গা। আমার স্বামী মোঃ আসাদুল হক প্রবাসে থাকায় আমি আমার পৈত্রিক নিবাসে মিনাপাড়ায় বসবাস করি। বিগত কয়েকদিন আগে আমি একটি গরু বিক্রি করি এবং আমাদের এলাকায় মেম্বর নূহ নবী তা জানতে পেয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবী করে কিন্তুু আমি তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করি।
গত ২৬ জুন, ২০২১ খ্রিঃ বিকালে আমার ছেলে মোঃ আবিব হোসেন (১১) খেলাধুলা করার জন্য বাহিরে গেলে মিনাপাড়ার মেম্বর নুহনবীর ইশারায় তার ছেলে হামীম (১৫) ও মিরাজের ছেলে মুজাহিদ (১৬) পূর্বপরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল যোগে আমার ছেলেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিকেলে গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরেও যখন আমার ছেলে অাবিব বাড়িতে ফিরে আসে নাই তখন আমরা তাকে খোজাখুজি করি। এক পর্যায়ে
উক্ত অাসামী হামীম ও মুজাহিদ ঐ দিনই সন্ধ্যার দিকে আমার স্বামীকে মোবাইল ফোনে ফোন করিয়া আমার ছেলের মুক্তিপন হিসাবে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা দাবী করে। তখনও আমরা তাহাদের কথায় কোনরূপ কর্ণপাত ও বিশ্বাস না করিয়া আমরা এলাকায় খোজাখুজি করার সময় জানতে পারি আমাদের এলাকার মেম্বর নূহ নবীর ছেলের হামীম ও মিরাজের ছেলে মুজাহিদ আমার ছেলেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে কোথাও নিয়ে গিয়ে অাটকিয়ে রেখেছে এবং এই খবর পাওয়ার পর আমরা মেম্বর নূহ নবীর বাড়ীতে গেলে নূহ নবী ও তার লোকজন আমার দেবর ও ভাইদের উপর অহেতুক কোন কথাবার্তা না বলিয়ায় অাক্রশমূলকভাবে আমাদের উপর লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে। তাদের মারপিঠের সময় আমরা কোন রকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি এবং আমরা যখন পালিয়ে অাসি পিছন থেকে মেম্বর ও মেম্বরের সন্ত্রাসী গ্রুপ আমার ভাইদেরকে বলে যে, আজ পালিয়ে গেলেও অাগামী দিন তোদেরকে যেখানে পাইবো সেখানেই খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবো। আমরা প্রাণে বাঁচিয়া বাড়িতে অাসিয়া পুলিশকে খবর দিই এবং পুলিশকে সাথে নিয়ে পুনরায় মেম্বর নূহ নবীর বাড়ীতে যায়। এরই মাঝে অাসামী হামীম ও মুজাহিদ অামার ছেলে অাবিরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা