জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবাহিনীতে সৈন্য প্রেরণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়।১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের ‘ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপে’ যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ সদস্য৷ সেসময় ক্ষমতায় ছিলেন সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ৷ পরের বছর বাংলাদেশ পুলিশ এবং ১৯৯৩ সালে নৌ ও বিমানবাহিনী মিশনে যোগ দেয়৷
৪০ দেশে এক লাখ চল্লিশ হাজার সেনাঃ
১৯৮৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিশ্বের ৪০টি দেশে ৫৪টি মিশনে বাংলাদেশের ১,৩৪,৯৪৭ সেনা ও পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন৷ জাতিসংঘের মিশনে সেনা পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম৷
বর্তমানে নিয়োজিত প্রায় দশ হাজার সদস্যঃ
বর্তমানে ১৫টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় দশ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় তিন হাজার সদস্যের অবস্থান কঙ্গোতে৷
রাজনৈতিক দলের সমর্থনঃ
বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে অনেক বিষয়ে মতভেদ থাকলেও সামরিক বাহিনীর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকে উভয় পক্ষই পুরোপুরি সমর্থন করছে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা৷ বাংলাদেশের কাছে বিষয়টি জাতীয় গর্বের ব্যাপার৷
অর্থ আয়ের অন্যতম উৎসঃ
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশ৷ আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিশনে দায়িত্বে থাকাকালে একজন সদস্য মাসে এক হাজার মার্কিন ডলারের মতো আয় করেন, যা বাংলাদেশে গড় বেতনের চেয়ে অনেক বেশি৷ এই অর্থ সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে৷