আজ শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক সংবাদ বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকার কিছুতেই লকডাউনের উপর নির্ভরশীল হতে চায় না তবু বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে।
তারপর তিনি দেশের বর্তমান টিকা পরিস্থিতি এবং লকডাউন নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। আগামী সোমবার থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের সরকারি ঘোষণার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “যদি আপনার হাতে ভ্যাকসিন না থাকে তাহলে লকডাউনই করোনা সংক্রমণ রোধে একমাত্র কার্যকরী পন্থা। বিশ্বের সকলেই লকডাউন দিয়ে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা জানি যে লকডাউনের মাধ্যমে মানুষের বিরাট ক্ষতি হয়। সুতরাং এটা আমাদের কাম্য নয় কিন্তু মানুষের জীবন রক্ষার্থে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউন দিতে হচ্ছে।
দেশের ভ্যাকসিন সম্পর্কে তিনি বলেন ভ্যাকসিন যে সংখ্যায় চাওয়া হয় সে সংখ্যায় পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতের সাথে তিন কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি ছিল কিন্তু পেয়েছি মাত্র ৭০ লাখ। আর তারা উপহার দিয়েছিলেন ৩০ লাখ। অতএব এখনো দুই কোটি তাদের কাছে পাওনা আছে।
আর চীনের সাথে দুই কোটি চুক্তি আছে। সব মিলিয়ে ৬ কেটি ৮০ লাখের বুকিং ইতোমধ্যে দেওয়া আছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এবং সব দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পাঠালে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ কোটি ভ্যাকসিন হাতে আসতে পারে বলে জানান এ মন্ত্রী।
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান,প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভাও হয়েছে। চুড়ান্ত তথ্য সময়মত জানতে পারবেন। গোপালগঞ্জে সরকারি ওষুধ কারখানার পাশে দেশীয় টিকা তৈরির কারখানা স্থাপন হবে। দেশীয় টিকা উৎপাদন সময় সাপেক্ষ হলেও ‘ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে’। সরকারের সাথে অথবা কোনো বেসরকারি কোম্পানির সাথে যৌথভাবে টিকা তৈরি করার জন্য রাশিয়া ও চীনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী দিন দশেকের মধ্যে মডার্নার ভ্যাকসিন বাংলাদেশের পৌঁছাবলে বলে আশা করছেন। উক্ত টিকা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এ টিকা সংরক্ষণ করতে হয় জানিয়ে তিনি যোগ করেন, “মডার্নার ভ্যাকসিন খুবই ভালো মানের ভ্যাকসিন।