ঝিনাইদহ প্রিন্স হাসপাতালে ভুল রিপোর্টে ভুল চিকিৎসা
প্রায়ই ভুল রিপোর্টের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে আস্থার সংকট।এর অন্যতম কারণ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে অনভিজ্ঞ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও সনোলজিস্ট দিয়ে পরীক্ষা করে সরবরাহ করছে। তবে সাধারণ মানুষের এই আস্থাহীনতার অভিযোগ অস্বীকার করে এটি রোগীদের ‘লোক দেখানো ফ্যাশন’ বলে মন্তব্য করেছেন কতৃপক্ষ।
শৈলকূপার বাসিন্দা আরতি রানি।তলপেটে ও মাজায় তীব্র ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন ঝিনাইদহ প্রিন্স হাসপাতালে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা: মো: আলাউদ্দিনের চেম্বারে।পরে চিকিৎসকের পরামর্শে টেস্ট করাতে যান। তার আল্ট্রাসনোগ্রাফীর স্বাভাবিক রিপোর্ট দেন তারা। পরদিন একই টেস্টের পুরো উল্টো রিপোর্ট দেয় আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
রোগীর ছেলে আর এম সি টিভিকে বলেন, প্রথমে তারা বললেন কোন সমস্যা নেই। কিছু ঔষধ লিখে দিলেন।তখন আমরা কিছুটা স্বস্তিবোধ করছিলাম।কিন্তু ঔষধ খেয়ে মায়ের শারিরীক অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেল।পরবর্তীতে আমরা শহরের সমতা ডায়াগনস্টিক ও ইসলামি ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে পরীক্ষা করে জানতে পারি প্রিন্স হাসপাতালের ওই রিপোর্ট ভুল ছিল।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা: মার্ফিয়া খাতুন বলেন,রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যে সব যন্ত্রপাতির প্রয়োজন সেগুলো বর্তমানে কিছুটা উন্নয়ন করলেও দক্ষ চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদের অপ্রতুল্যতা রয়েছে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএ (ঝিনাইদহ) এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, বেশির ভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো মান সম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে ভুল রিপোর্ট হওয়া স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে প্রিন্স হাসপাতালের পরিচালক মো: পাপ্পুর সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি রোগীদের লোক দেখানো ফ্যাশন। আমাদের রিপোর্ট সম্পূর্ণ সঠিক, আপনি পারলে কিছু করেন।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান,আমি জরুরি কাজে এখন ঢাকাতে আছি। ঝিনাইদহে ফিরে বিষয়টি আমি পর্যবেক্ষণ করে জানাতে পারবো।