বোরহান উদ্দিন দেওয়ানগঞ্জ জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ফেরদৌস হাসান হত্যাকান্ডের ২ নাম্বার আসামী আনোয়ার হোসেনকে(৪৮)চট্রগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং সঙ্গীয় ফোর্স, বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয় । গ্রেফতারের পর আদালতে দেওয়া নিজের স্বীকারোক্তিমূলক জীবনবন্দিতে সে এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানায় ।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ থানার উত্তর গামারিয়ার ফেরদৌস হাসান( ৪৭) হত্যা মামলার মূলহতা এবং এজাহারনামীয় ২ আসামী আনোয়ার হোসেনকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে
১২ এপ্রিল আনুমানিক বিকেল ৪ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে, পুলিশ প্রহরায় দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসে এবং ১৩ এপ্রিল দুপুরবেলা তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয় । নিজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে । তিনি আরো জানান ১২ এপ্রিল তারিখ রাত ১১ টার দিকে ফেরদৌসের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মিষ্টি ছলনা করে ফোন দিয়ে ফেরদৌসকে তার নিজ বাড়ীতে ডেকে নেয়, নিজ ঘরে তুলে মাফলার দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করা হয়, হত্যার পর রাতেই লাশ ভুট্রার ক্ষেতে পূতে রেখে আসে । তার দেখানো তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য গত মার্চের ১২ তারিখে নিজ মুদী দোকানে ঘুমাতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ফেরদৌস, ১৪ এপ্রিল দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গামারীয়ার ওমর আলীর ভুট্রার ক্ষেত থেকে ফেরদৌসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । ১৫ এপ্রিল ফেরদৌসের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করে এই মামলায় আনোয়ার ছিল ২ নং আসামি এবং নিহত ফেরদৌসের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার মিষ্টি ছিল ১
নং আসামী ।
দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন দেওয়ানগঞ্জের চাঞ্চল্যকর মামলার অন্যতম আসামী এবং মূলহোতা আনোয়ার হোসেনকে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে নিজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে ।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্রধর জানান আগেই একজন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছিল এবার মূলহোতাকে আমরা গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি ।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মডেল থানার ওসি (তদন্ত ) হাবিব সাত্তি ।