সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বড় ভাই মোশারফ হোসেন মাসুদ ও তার ভাতিজা তানভীর হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধর এবং অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ধর্মপাশা গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ রঞ্জন সরকার মঙ্গলবার বিকেলে ধর্মপাশা থানায় এই মামলা করেন। মোশারফ হোসেন মাসুদ ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মোশারফ হোসেন মাসুদ এমপি রতনের ভাই। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিরীহ মানুষজনের ওপর নির্যাতন করে আসছেন। মাসুদের ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপির সাথে বিকাশ রঞ্জন সরকারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বিকাশের প্রতি ক্ষিপ্ত হয় মাসুদের পরিবার। কিছুদিন আগে বিকাশ পাইকুরাটি ইউনিয়নের নতুন বাজারে তার মালিকানাধীন জায়গার ৫ শতাংশ বিক্রি করেন। ওই জায়গায় যে ঘর রয়েছে, তা ভেঙে আনতে বিকাশ সোমবার দুপুরে সেখানে যান। এসময় মাসুদ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে (মাসুদ) জিজ্ঞেস না করে জায়গা বিক্রি করেছেন কেন বিকাশের কাছে জানতে চান। উত্তরে বিকাশ বলেন, ‘তোমার ভাইদের কাছে জায়গা বিক্রি করে জায়গার মূল্য না পেয়ে উল্টো হয়রানীর শিকার হয়েছি। এখন আবার পারমিশনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’ এই নিয়ে মাসুদ ও বিকাশের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে মাসুদ ও তাঁর ছেলে সাগর বিকাশকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও গালমন্দ করে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে বিকাশ পার্শ্ববর্তী একটি ঘরে আশ্রয় নেন এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিকাশ সেখান থেকে মুক্ত হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন মাসুদ।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’