নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার শিবির বাজার সংলগ্ন বাইত্তারগাতি এলাকায় গৌতম পালের পরিবারের উপর হামলার ঘটনার সূত্রপাত বাড়ির সীমানায় একটি আম গাছকে কেন্দ্র করে বিগত ১৫ বছর ধরেই। এই বিবাদ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেছে। কিন্ত মামলার রায় অমান্য করছে বলে একপক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছে। সেই সাথে উভয়েই আম গাছের মালিক বলে দাবী করে যাচ্ছে এবং প্রায়ই সীমানা নিয়ে ছোটখাটো ঝগড়া হচ্ছে।
সেই সূত্র ধরে, গত ২৫ মে ২০২১ রোজ বুধবার জুনু গোস্বামী বনাম গৌতম পালের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। কিন্তু সেদিন আর বিষয়টা ছোটখাটো ঝগড়ারুপে থাকে নাই কারণ নিজের বাড়িতেই যুবলীগের সভাপতি মামুনের নেতৃত্বে ২০/২৫ দ্বারা হামলার স্বীকার হয়ে আহত হন একটি মেয়ে,একটি বাচ্চা ও একজন পুরুষ। সেই সাথে তারা বাসার বেড়া ভাংচুরসহ বাসার একটি রুম তছনছ করে এবং ভিডিও রেকর্ড় সহ ফোন নিয়ে যায়। কিন্তু বাসার এক মহিলা গোপনে কিছু ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে যেখানে অকথ্য ভাষায় গালাগালি,ধাক্কাধাক্কি ও হুমকির আলামত দৃশ্যমান। এমতাবস্থায় গৌতম পালের বাসার মানুষজন আতঙ্কগ্রস্থ।
এখন প্রশ্ন থেকে যায়, সীমনা নিয়ে বিরোধ যদি জুনু গোস্বামী ও গৌতম পালের মধ্যকার হয়ে থাকে,তাহলে যুবলীগ নেতা মামুন ও তার সাঙপাঙ ওখানে কেন গেলো আর কেনই হুমকি-ধামকি করলো। এই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইলে প্রতিবেশি অনেকেই বলেন তারা কিছুই জানেন না। আবার কেউ কেউ বলেন জুনু গোস্বামী মামুনের নামে ৩ শতাংশ জমি লিখে দিয়েছেন আবার কেউ বলেন ৩ নয় ১৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। কিন্তু কেউ দলিল দেখাতে আগ্রহী নন। যদি তাদের কথা সত্যি ধরে নেই তাহলে মামুন কেন সীমানা বুঝে জমি ক্রয় করেন নাই। আবার জায়গা যদি মামুনের হয় তবে ঘটনার সময় জুনু গোস্বামী কেন সশরীরে হাজীর থাকেন।
এইসব প্রশ্ন নিয়ে জুনু গোস্বামী ও মামুনের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের সাথে যথাযথ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারণ হামলার সময় জুনু গোস্বামীকে ভিডিওতে সুস্থ দেখা গেলেও পরে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং মামুনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে হাসপাতালে উপস্থিত থাকা বেনজির আহমেদ নামক জনৈক আর এম সি টিভিকে বলেন, “ঊনি( জুনু গোস্বামী) কথা বলবেন না। আর আমরা যদি বিষয়টা সামাজিক আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করতে পারি তাহলে আপনাদের তো তথ্য নেয়ার দরকার নেই।”
এই দিকে, জুনু গোস্বামীর আঘাত নিয়ে গৌতম পালের পরিবারের পাতা সরকার বলেন আমি এ ব্যাপারে জানি না, হয়ত ধাক্কাধাক্কি করার সময় পড়ে গিয়ে হালকা ব্যাথা পেয়েছেন। তবে তিনি মামুনের সাথে একজোট হয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং কিছু দিন আগেও বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন। আমরা বাঁচতে চাই,আমরা দেশবাসীর কাছে সাহায্য চাই।