মহাকাশে আবারো নতুন করে প্রাণী পাঠানোর উদ্যোগ নিল যুক্তরাষ্টের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। পৃথিবী থেকে মহাকাশে প্রাণী পাঠানোর ব্যাপারে পরিকল্পনা শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। পাঁচ হাজার টারডিগ্রেড ও ১২৮টি স্কুইডের বাচ্চা মহাকাশে পাঠাবে বলে জানিয়েছে তারা। তথ্য মতে, এই প্রাণীগুলোকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে স্পেস এক্সের ২২তম কার্গো মিশনের সময় মহাকাশে পাঠানো হবে এবং টারডিগ্রেড এবং স্কুইডের বাচ্চাগুলো আজ ফ্যালকন ৯ রকেটে উঠবে।
প্রাণীকুল মহাকাশে কতটা নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম, এই পরীক্ষার ফলে তা অনেকটাই জানা যাবে বলে মনে করছেন নাসার বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় আজ দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে এরা যাত্রা শুরু করার কথা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই পরীক্ষার মাধ্যমে মহাকাশে জীব সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
টারডিগ্রেড ছোট প্রাণী যার দৈর্ঘ্য এক মিলিমিটার । এছাড়া এরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়া বা উচ্চ চাপ ও তেজস্ক্রিয় ক্ষেত্রেও বেঁচে থাকতে পারে। বেঁচে থাকা এই আশ্চর্য শক্তির কারণে এই প্রাণীগুলোকে বিজ্ঞানীরা মহাকাশে গবেষণা চালানোর জন্য বেছে নিয়েছেন।
এছাড়াও বিজ্ঞানীরা বোবটাইল প্রজাতির স্কুইডের বাচ্চাদের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পাঠাচ্ছেন। এগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা অন্ধকারে নিজেদের আলোকিত করার ক্ষমতা রাখে। মাত্র ৩ মিলিমিটার হয় এদের দৈর্ঘ্য। এই স্কুইডগুলো অন্ধকারে জ্বলজ্বল করার পেছনে একটি অঙ্গ দায়ী। এগুলো প্রাণীর ভিতরে থেকে আলো বিচ্ছুরিত করে। আলো না থাকলে বায়োলুমিনসেন্ট ব্যাকটেরিয়া থেকে এরা আলোকিত হওয়ার জন্য সহায়তা গ্রহণ করে।
উল্লেখিত দুই ধরনের প্রাণীকে মহাকাশে পাঠানোর আসল উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞানীরা যেনো বুঝতে পারেন যে, মহাকাশের জীবাণুগুলো কীভাবে পৃথিবী থেকে প্রাণী টিস্যুর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং তার প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।বিজ্ঞানীরা এদের মাধ্যমেই নির্দিষ্ট জিনগুলো বোঝার চেষ্টা করবেন, যা জীবকে চরম প্রাকৃতিক পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করে।