বন্টনের জটিলতা জন্য ফেরত গেল মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক -নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনাকালীন ঝুঁকি ভাতার ১০ লাখ টাকা।
বন্টনের পরিমাণ নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ঝুঁকিভাতার টাকার চিঠি আসে গত ৩০ই জুন বলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হেড ক্লার্ক খুরশেদ আলম। তিনি বলেন ওই দিনেই টাকা তোলার শেষ দিন ছিল।
কিন্তু ঝুঁকিভাতার টাকা চিকিৎসক – নার্স ও অন্যরা কত পাবেন, সেই বিষয়ে ওই চিঠিতে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ ছিল না।যার ফলে এত অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে টাকা তোলা সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের অন্য চিকিৎসকরা ঝুঁকিভাতার সম্পর্কে জানতে না বলে জানা যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকল চিকিৎসক -নার্স ও অন্যরা নিজে দের জীবনের মায়া ত্যাগ করে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা মনে করেন যে, তাঁরা যদি ঝুঁকিভাতা পেতেন তাহলে তাদের মনোবল আরো চাঙ্গা হত।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ শামছুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সেলিম মিয়া বলেন যে, ঝুঁকিভাতার টাকা বন্টের পরিমানের সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় টাকা তোলা সম্ভব হয়নি। পুরো জেলায় একেই অবস্থা। এ বরাদ্দ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল। চলতি বছরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট নির্দেশনাসহ ঝুঁকিভাতার বরাদ্দ আসবে বলে আশা করছি।