সেমাই চিনিসহ নাতি ফয়সাল কবিরের (১৫) ঈদের দিন মোটরসাইকেলে উঠে স্ত্রী ও তিন বছরের আরেক নাতিকে সাথে নিয়ে মেয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন বৃদ্ধ শরিফ উদ্দীন (৫৫)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ভেঙ্গে গেছে দুই নাতির পা। ঈদের আনন্দ মুহুর্তে পরিণত হয়েছে শোকে।
শুক্রবার বালিয়াডাঙ্গী-ঠাকুরগাঁও সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফ উদ্দীন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।
শরিফ উদ্দীনের ভাতিজা জুলফিকার আলী জানান, একটি মোটরসাইকেলে চারজন উঠে মেয়ের বাড়ীতে যাচ্ছিলেন। পথে অপরদিক থেকে আরেকটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে চাচা মারা গেছে। চাচি রশিদা বেগম, তিন বছরের শিশু ও মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল কবির হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চাচির অবস্থা আশংকাজনক। শনিবার বিকালে শরিফ উদ্দীনের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।