বড় ভাইয়ের গৃহ শিক্ষক এবং একই পাড়ার বসতি গোলাম নবী (৬০) কে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে রাস্তায় টানাহ্যাঁচড়া করার পর চড়-থাপ্পড় মারলেন তথাকথিত সমাজ সেবক মোঃ আবদুল্লাহ ওরফে রেল আবদুল্লাহ,
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, গোলাম নবী দীর্ঘদিন যাবত হামদহ সাধুপতিরাম স্কুলের সামনে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন,সম্প্রতি তিনি তার পুরাতন টিনের বাড়ি ভেঙ্গে পৌরসভা থেকে প্লান পাশ করে ফ্লাট বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন, গোলাম নবী জানান সামনের রাস্তার পুরা জমিই তার, সামনের বাড়ির কেউ জমি দেইনি তারা প্রায় ৩০ বছর আগে বাড়ি করেছে জমি না ছেড়েই, আমি সহ আমার নিকটতম প্রতিবেশিরা মেনে নিয়েছি, পুরো রাস্তার জমি আমরা পূর্ব পাশের বসতীরা দিয়েছি,এরপর ৩/৬/২১ তারিখে আমার বাড়ির ছাদের কিছু অংশ বাড়িয়ে আমি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য শাটারিং এর কাজ শুরু করি রেল আবদুল্লাহ আমার নিকটতম প্রতিবেশী নয় তার বাড়ি খানিক পর সে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, আমার মিস্ত্রিদের মারতে চাই এবং আমার সাটারিং ভাঙচুর করে, তারপর আমি আবদুল্লাহ কে বলি তোমার যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তুমি পৌরসভায় কমপ্লেন করো আমার সাথে ঝামেলা করছ কেন! আবদুল্লাহ বলে কিসের পৌরসভা। ছাদ বাড়ানো নিয়ে আমার বাড়ির সামনে পেছনে সাইডে যারা বসবাস করেন তাদের আপত্তি নেই,,এরপর আজকে আমি আমার পরিচিত একজন ব্যক্তিকে হাসপাতালে দেখার উদ্দেশ্যে হাসপাতালের সামনে গেলে রেল আবদুল্লাহ আমাকে টানাহ্যাঁচড়া করে চড় থাপ্পড় মারে।আমি এর বিচার চাই।
রেল আব্দুল্লাহ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে জানা যায়, রেল আব্দুল্লাহ ২০১৭ সালে ৫ পিচ বোমা সহ গ্রেফতার হয়ে শহর জুড়ে আলোচনায় আসেন! তার আরেক ভাই দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার অন্যতম আসামি যার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে এবং তিনি এখনো জেলে,
ঝিনাইদহে রেল আন্দোলনকারীদের সাথে প্রায় দেখা যেত রেল আবদুল্লাহকে, নিজের নামের আগে নিজেই রেল শব্দটি জুড়ে দিয়েছেন তিনি, রেল আবদুল্লাহ নামে ফেসবুকও চালান তিনি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান রেল আব্দুল্লাহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের দালাল সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের দালালদের সাথে প্রায় তাকে দেখা যায়।