করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঘোষিত ১ লা জুলাই থেকে ৭ ই জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের আজ ৩য় দিনে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসন রয়েছে কঠোর অবস্থানে।
আজ শনিবার ৩ জুলাই ভোরবেলা থেকেই মির্জাগঞ্জ উপজেলার প্রধান প্রধান স্থানে করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে জনসাধারণকে সচেতন এবং সরকারের নির্দেশ সম্পূর্নরুপে বাস্তবায়ন করিতে সেনাবাহিনী পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিল তৎপর। সড়ক গুলোতে মুভমেন্ট পাশ যানবাহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। তবে বেশকিছু ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলতে দেখা গেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানপাট খোলা থাকিতে পারবে,তা ব্যতীত সবগুলোই ছিল বন্ধ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস এর পরিচালনায় উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্বন্ধে সাধারণ মানুষকে অবগত করেন। এবং দুপুর নাগাদ সুবিদখালী তিন রাস্তার মোড়ে শাহজালাল বয়াতির ফলের দোকানে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে এবং ২০০২ এর পলিথিন নিষিদ্ধ করণ আইনের ৬ (ক) ধারায় দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব, মোঃ মহিববুল্লাহর কাছে,সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য তারা কি রকম ব্যবস্থা নিয়েছেন তা জানতে চাইলে,তিনি জানান,নিবিড় তত্বাবধানে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ মির্জাগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসিয়ে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য অহর্নিশি কাজ করে যাচ্ছে। এবং জনগণও করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য ঘর থেকে তেমন বাহির হচ্ছেন না। তারা আইনের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল।