প্লেয়ার আননোন’স ব্যাটেলগ্রাউন্ড বা পাবজি গেম সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় গেম। পাবজি গেমের এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও এখন বেশ করছে বাংলাদশি কিছু দল। খেলোয়াড়দের ব্যক্তি উদ্যোগে গঠিত এই দলগুলো এখন নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে বড় বড় টুর্নামেন্টে।
ইন্টারনেট ভিত্তিক এসব খেলাকে বলা হয় ই-স্পোর্টস। মাঠের বদলে এসব টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয় অনলাইনে।
করোনার লকডাউনে ঘরে বসেই এই অনলাইন গেমে অংশ নিয়ে এবার পাবজি মোবাইল প্রো লিগ সাউথ এশিয়া-পিএমপিএল আঞ্চলিক পর্বের শীর্ষ ১৬ দল থেকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত ৯টি দলের মধ্যে ৬ষ্ঠ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের দল ১৯৫২।
মাতৃভাষার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এবার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ছয় কিশোরের এই দল। ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ফাইনালে ৪দিনে ২৪ ম্যাচ খেলে দলটি। রোববার রাতে চিকেন ডিনার জিতে এক হাজার ডলার পুরস্কার পেয়েছে এই দলের সদস্যরা। দলের প্রতিষ্ঠাতা কাজী আরাফাত হোসেন। টিম ম্যানেজার নাফিসের তত্বাবধানে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছে ১৯৫২ দলের ম্যাগনেট ( রাদ্বওয়ান হোসাইন সায়েম, তাওফিক সিকদার, শার্প এক্স (রুদ্র মুখার্জী), সি মাইন (রেফটুল ইসলাম) ওয়ানশট (সায়েম শাহরিয়ার) এবং রাজিত আহমেদ খান ওরফে এন্ট্রি।
এর আগে নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার সেরা ২০টি দল গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে শীর্ষ ১৬ দল ফাইনালে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে। যাদের মধ্যে ছিলো বাংলাদেশের তিনটি দল এ ওয়ান ইস্পোর্টস, ভেনম লেজেন্ডস ও এ ওয়ান ইস্পোর্টসেরই আরেক দল ১৯৫২। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পর্বের চূড়ান্ত ম্যাচে বাংলাদেশের ৩ দল ছাড়াও পাকিস্তানের ৩ দল, মঙ্গোলিয়ার ২ ও নেপালের ৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এদের মধ্যে মঙ্গোলিয়া দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ না হলেও ওয়াইল্ড কার্ড হিসেবে অংশ নেয়।
এবার আগামী ১৩-১৬ মে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে লড়াই করবে ১৯৫২। প্রতিদ্বন্দ্বী ৮টি দলসহ গতবারের চ্যাম্পিয়ন নেপালও প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশের।
টুর্নামেন্টের প্রাইজপুল নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় লাখ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ টুর্নামেন্ট জিতলেই ১৯৫২ দলের একেক সদস্য হবেন কোটিপতি।
GFX- behance.net/designer_raiyan