মোহনগঞ্জে বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমন কি যারা জ্বরে আক্রান্ত তাদের বেশির ভাগ রোগীর করোনার উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই মানতে চান না যে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। তারা ভয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে চান না।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা যায় যে, উপজেলা মানশ্রী গ্রামের মুক্তা আক্তার নামে এক নারী তার মেয়ে কে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসকের কাছে। তিনি জানান যে, কয়েক দিন ধরে আমার মেয়েটার জ্বর। আমাদের বাজারের দোকান থেকে ঔষুধ খাইয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এলাম। তবে উনার মেয়েকে করোনা পরীক্ষার কথা বললে তিনি অনিহা প্রকাশ করে বলেন যে, করোনা পরীক্ষার দরকার নেই এটা সিজনাল জ্বর ঔষুধ খেলে এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।
আটপাড়া উপজেলার খিলা গ্রামের আমেনা আক্তার বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। তাই তিনি ডাক্তার দেখাতে আসছেন। কিন্তু উনাকে করোনা পরীক্ষা করাতে বললে তিনি বলেন যে এটা আবহাওয়া জনিত রোগ।আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলেই সবার জ্বর হছে।ঔষুধ খেলেই শেরে যাবে।
তাঁরা আরো জানান যে, পরিচিতদের মধ্যে জ্বরের রোগী অহরহ। বর্তমানে শহর থেকে গ্রামে জ্বরের রোগী অনেক বেশি। গ্রামের যারা জ্বরে আক্রান্ত হন তারা প্রথমেই তাদের স্হানীয় ফার্মেসি থেকে ঔষুধ কিনে খায়। আর যখন তাদের শ্বাসকষ্টসহ অনন্যা সমস্যা বেড়ে যায় তখনেই কেবল হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য আসেন।
পরিক্ষার পর যদি করোনা পজিটিভ হয় তাদের বাড়ি লকডাউন করে দিবে এবং তারা কথাও বেড় হতে পারবে না। সেই ভয়ে কেউ করোনা পরীক্ষা করাতে চান না।
সম্প্রতি ঔষুধের দোকানের বিক্রিতাদের সঙ্গে কথা বলে যায় যে,জ্বরের ঔষুধ ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে।
সবার করোনা পরীক্ষার ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের করোনা পরীক্ষার আশাপাশি বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ।