সমতা ফেরাল ভারত
সুযোগ ছিল, যথেষ্ট সুযোগ ছিল ভারতের সামনে সিরিজে সমতা ফেরানোর। বৃহস্পতিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করেও সূর্যকুমার, শ্রেয়াস,পন্থদের ব্যাটে যথেষ্ট সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছায় ভারতীয় দল। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে গত ম্যাচের নায়ক বাটলারকে তাড়াতাড়ি হারায়। মাত্র নয় রান করে ভুবনেশ্বরের বলে ফিরে যান তিনি। কিন্তু এরপর জেসন রয় ইংল্যান্ড ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাঁর সংগ্রহ ৪০।মালান করেন ১৪।ব্যাকফুটে থাকা ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরাতে শুরু করেন বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। দুজনের ৬৫ রানের পার্টনারশিপ প্রবলভাবে ম্যাচে ফেরায় ইংরেজদের। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ওয়াশিংটন সুন্দরকে রান তোলার জন্য বেছে নেন তাঁরা। জনি ২৫ করে ফিরে গেলেও চালিয়ে খেলতে থাকেন বেন স্টোকস। শেষপর্যন্ত ভারতকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন শার্দুল ঠাকুর।সতেরো নম্বর ওভারে বেন স্টোকস এবং মর্গানকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন তিনি। বেন স্টোকস করেন ৪৬। দেখে মনে হচ্ছিল বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার এদিন একাই দলকে ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন। কিন্তু দিনের শেষে খেলাটার নাম ক্রিকেট। মহান অনিশ্চয়তার এই খেলায় কখন খেলার মোড় ঘুরে যাবে বলা যায় না। এদিন শেষ পর্যন্ত নিজেদের আত্মবিশ্বাস না হারানোর পুরস্কার পেল ভারত। দেখতে গেলে ব্যক্তিগত ঝলকের পাশাপাশি টিম গেম হিসেবেই ম্যাচটা জিতল টিম ইন্ডিয়া।শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জিততে গেলে প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। ব্যাট হাতে ছিলেন জর্ডান এবং আর্চার। বল হাতে শার্দুল। একটি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মেরে আর্চার ভারতের হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। দুটো ওয়াইড করে আরও চাপ বাড়িয়ে ফেলেছিলেন শার্দুল। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত অঘটন ঘটেনি। জর্ডানকে ফিরিয়ে দিলেন শার্দুল। কঠিন ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। আরও গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ জয়ের সুযোগ এখনও রইল ভারতের সামনে।দিনটা ছিল সূর্যকুমার যাদবের। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি দলে থাকলেও ব্যাট করার সুযোগ পাননি। তৃতীয় ম্যাচে বাদ পড়তে হয়। এদিন দলে সুযোগ পেয়ে নিজের জাত চেনালেন। তিন নম্বরে সূর্যকে পাঠানো হল। আর্চারকে প্রথম বলেই ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন। এরপর কভার ড্রাইভ, স্কুপ, পুল বিভিন্ন শট খেলতে দেখা গেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটসম্যানকে। ৫৭ করে ফিরে গেলেন মালানের হাতে ক্যাচ দিয়ে।দিনের শেষে ভারত জিতল।