সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু নোয়াগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সুনামগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন কতৃপক্ষ।
সোমবার বেলা ১১ টায় স্বামী হৃদয়ানন্দ মহারাজ মহোদয়ের নেতৃত্বে মিশনের উদ্যোগে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ টি পরিবারে নগদ ১ হাজার টাকা ও ১ টি শাড়ী, ১ টি লঙ্গী সহায়তা প্রদান করা হয় । উক্ত
মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন
সুনামগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক যোগ্যেশ্বর দাস, শাল্লা রামকৃষ্ণ মিশনের সহ সভাপতি বিপ্লব হোম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক ভানুচাঁদ দাস
, কোষাধ্যক্ষ সুধারঞ্জন দাস, যুগ্ম সম্পাদক সজল কান্তি দাস, সদস্য পীযুষ কান্তি চৌধুরী সহ সুনামগঞ্জ ও শাল্লা রামকৃষ্ণ মিশনের সদস্যবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত নওয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে। এসময় গ্রামের ৫ টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়। শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে ১৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা করেন। নওয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০০ জন আসামী করে অন্য মামলাটি করেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। দুইটি মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত ৩৮ আসামীর মধ্যে ২৯ আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এদিকে ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। অন্যদিকে গত ১ এপ্রিল সেই অভিযুক্ত ঝুমনের মা নিভা রানী দাস বাদী হয়ে ৭২ জনকে আসামী করে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোনের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহা’র আদালতে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।