শেরপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প “স্বপ্নের ঠিকানায়” ঘর পেলেন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে নিজেদের নতুন ঘরে উঠলো শেরপুরের তৃতীয় লিঙ্গের ৪০ জন। এখন বাসস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার দাবী তাদের। পিছিয়ে পড়া জনপদের হিজড়া জনগোষ্ঠী কর্ম পেয়ে যেন দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠে এটাই এখন তাদের চাওয়া।
শেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, দুই একর জায়গায় ৬৯লাখ ৪হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারি হিজড়াদের আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডের জন্য থাকছে প্রায় ৪০ শতক জমির ওপর একটি পুকুর, শাক-সবজি, ফসল আবাদের জন্য রাখা হয়েছে খোলা জায়গা, আত্মকর্ম প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত হচ্ছে একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ। গুচ্ছগ্রামের সাথেই রয়েছে ৮ একরের বড় একটি সরকারি খাস বিল। গুচ্ছগ্রামে নির্মিত প্রতিটি ঘরের সাথেই রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা।
এদিকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ হতে এখানকার তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য হাড়ি-পাতিল, থাকার জন্য ২০টি বিছানা ও বিছানার চাদরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপসচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, শেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, শেরপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাসরিন বেগম ফাতেমা, জনউদ্যোগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব হাকিম বাবুল, কামারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খবির উদ্দিন, সহকারি ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা হুরমুজ আলীসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা প্রমূখ।