সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানাকে অবশেষে উপজেলায় উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রশাসনিক পূণর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৭ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্মপাশা উপজেলার অন্তর্ভুক্ত মধ্যনগর থানা দূরত্বজনিত কারণে চারটি ইউনিয়নের জনগণ চিকিৎসা, প্রশাসনিক সেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহানোর ফলে মধ্যনগর থানাকে বহু বছর ধরে উপজেলায় উন্নীতকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন এ অঞ্চলের মানুষ। তাদের দীর্ঘদিনের আশা সোমবার পূরণ হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মধ্যনগরবাসী। এ খবরে মধ্যনগর উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে সোমবার মধ্যনগর বাজারে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। মিছিলে মধ্যনগরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
১৯৭৪ সালে মধ্যনগর, চামরদানি, বংশীকুন্ডা উত্তর ও বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনয়িন নিয়ে মধ্যনগর থানা গঠিত হয়। সোমেশ্বরী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবহেলিত মধ্যনগর থানার আয়তন ২২০ বর্গ কিলোমিটার। চারটি ইউনিয়নে প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস। এ থানার সর্বশেষ বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের ওপর। অপরদিকে উপজেলা সদর থেকে মধ্যনগরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। ফলে প্রশাসনিক, শিক্ষা, চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সেবা নিতে এ থানার মানুষ দীর্ঘ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নিকারের ৮৬তম বৈঠকে মধ্যনগর থানা এলাকার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে মধ্যনগর উপজেলা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে নিকার ৮৮তম সভায় এ সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়েছিল।
মধ্যনগর উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক বিদ্যুৎ কান্তি সরকার বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ‘আজ মধ্যনগরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ এ স্বপ্ন পূরণের সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানাই।