সুনামগঞ্জের শাল্লায় গত সোমবার দাড়াইন বাজারের দক্ষিণ পাশের নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধারকৃত নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে। উদ্ধারকৃত মহিলার নাম মানষী সরকার (৩২)। সে হবিবপুর ইউনিয়নের দাড়াইন বাজারের দর্জি ব্যবসায়ি ও নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত রাখেশ দাসের ছেলে রনধীর দাসের দ্বিতীয় স্ত্রী । এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বামী রনধীর দাস (৪৫) কে বুধবার গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেন শাল্লা থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে রনধীর দাসকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মানষী কে হত্যা করে, শরীরে রশি দিয়ে ১৬ টি ইট বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই ২০২১ ইং তারিখে মামলা নাম্বার ( ৬), ৩০২/২০১ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ আদালতে ঘাতক রনধীরের রিমান্ড আবেদন করলে মহামান্য আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন । আজ শুক্রবার রিমান্ডর প্রথম দিন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত সোমবার দুপুর ২টায় দাড়াইন বাজারের দক্ষিণ পাশে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এঘটনার বিষয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর আলম জানান, স্থানীয়দের তথ্য মতে গত সোমবার দাড়াইন বাজারের দক্ষিণ পাশের নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় । লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ, বেড়িয়ে আসে আসল রহস্য । পরে মৃত মানষী সরকারের স্বামী রনধীর দাসকে না গ্রেফতার করা হলে সে তার স্ত্রী মানষীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। তিনি জানান তদন্তের স্বার্থেই মহামান্য আদালতের মাধ্যমে ঘাতক রনধীর দাসের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মন্জু করেন।