1. rana.bdpress@gmail.com : admin :
  2. admin@dailychandpurjamin.com : mazharul islam : mazharul islam
  3. rmctvnews@gmail.com : adminbd :
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের হাট বাজারে ত্রীপাল ক্রয়ে কৃষকের ভীর

সুনামগঞ্জের হাট বাজারে ত্রীপাল ক্রয়ে কৃষকের ভীর

স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের হাওরে হাওরে শুরু হয়েছে এখন ধান কাটার উৎসব। এ অঞ্চলে পহেলা বৈশাখ থেকে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে থাকে বহুকাল আগে থেকেই। কিন্তু গত কয়েক বছর হয় আগাম জাতের ধান আবাদ হওয়ায় কিছু ধান আগেই কাটা-মাড়াই শুরু হয়। এখন হাওরজুড়ে চলছে সেটিই। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। পাকা ধানের ম ম গন্ধে ফুটেছে কৃষাণের মুখে হাসি। এই সোনালি ফসল ঘরে তুলতে কৃষাণের চলছে নানা প্রস্তুতি। তাই প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনাকেটায় কৃষকরা ভিড় জমাচ্ছেন বাজারে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি উপকরণ হল ‘চট বা চাটা’। প্লাস্টিক, সিমেন্ট বা চালের বস্তা দিয়ে তৈরি চটকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘তেরপাল’ বা ত্রিপাল বলা হয়। কাকড় ও বালিমুক্ত ভাবে মাড়াই করা ধান শুকাতে বা স্তুপ রাখতে এই উপকরণগুলো ব্যবহার করেন কৃষকরা।
জানা যায়, আগে ফসল ঘরে তোলার পূর্ব থেকে কৃষাণিরা মাটি দিয়ে উঠান লেপনে ব্যস্ত সময় পার করত। হঠাৎ বৃষ্টিতে লেপনকৃত উঠান পানিতে ধুয়ে গেলেও পুনরায় কৃষাণিরা লেগে যেত উঠান লেপনের কাজে। কৃষকদের প্রায় প্রতিটি বাড়ির লেপনকৃত উঠান থাকত তকতকে পরিষ্কার। মাঠ থেকে আনা খড়সহ ধানের স্তুপ (পাড়া), গরু, কল দ্বারা ধান মাড়াই, ধান শুকানো, খড় শুকানো সহ ধান গোলা বা আড়তে মজুদ রাখার পূর্ব পর্যন্ত যাবতীয় কাজ এই উঠানে সম্পাদন করত। এখন বেশিরভাগ কৃষকরা লেপানো উঠানের বিকল্প হিসেবে ত্রিপাল ব্যবহার করছেন। এতে সময় লাগে কম ও বেশি সুবিধাজনক। ছোট-বড় বিভিন্ন মাপের প্লাস্টিকের বস্তা কেটে সেলাই করে এই ত্রিপাল তৈরি করা হয়।
এবার দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ধান কাটা মাড়াইয়ের শ্রমিকবহনকারী পরিরহন, ধান কাটার যন্ত্রপাতির ও উপকরণের দোকান এই লকডাউনের আওতামুক্ত। সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার বাজারের কৃষি উপকরণের দোকানগুলোতে তেরপাল বা ত্রিপাল বিক্রি বেড়েছে।
পৌর শহরের মধ্যবাজারে ত্রিপাল বিক্রেতা রইছ মিয়া বলেন, ধান তোলার সময়ই ত্রিপাল বেশি বিক্রি হয়। আমার কাছে এক একটা ত্রিপাল ১০-১০ হাত ও ১৫ থেকে ২৫ হাতেরসহ বিভিন্ন সাইজের ত্রিপাল রয়েছে। লকডাউনের কারণে বাজারে মানুষ কম তারপরও বিক্রি ভালোই হচ্ছে।
কৃষক জলিল উদ্দিন বলেন, লকডাউনের কারণে শহরে আসতে খুব কষ্ট হয়েছে। ধান রাখার জন্য ত্রিপাল তো জরুরী। তাই ঝুঁকি নিয়ে ত্রিপাল কিনতে আসতে হয়েছে।

কষক সুফিয়ান আহমদ বলেন, গোলায় ধান তুলতে ও ধান রোদে শুকাতে ত্রিপালের গুরুত্ব অনেক। তাই বাজারে ত্রিপাল কিনতে আসছি। অন্যবারের চেয়ে এবার ত্রিপালের একটু দাম বেশী।

ক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, আমার বাবা কৃষক, আমি কলেজে পড়াশুনা করি। করোনা ভাইরাসের জন্য কলেজ বন্ধ তাই বাবাকে সহযোগিতা করছি ধান তুলতে। ধান রাখার প্লাস্টিকের ত্রিপাল কেনার জন্য বাবা আমাকে শহরে পাঠিয়েছেন। লকডাউনের জন্য একটু সমস্যা হচ্ছে চলাফেরা করতে। অনেক কিছুই কেনার ছিল কিন্তু শুধু কাঁচি আর ত্রিপাল কিনতে পেরেছি। অনেক দোকান বন্ধ।
ত্রিপাল বিক্রেতা হৃদয় দাশ বলেন, আমার কাছে ২০০ থেকে ১০০০ টাকার ত্রিপাল আছে বিভিন্ন সাইজের। লকডাউনের জন্য বাজার মন্দা। মোটামুটি বিক্রি চলছে।
ক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, দাম অন্যবারের চেয়ে বেশি। ছোট একটা ত্রিপাল কিনছি ৩০০ টাকা দিয়ে। অন্য বছর এর চেয়ে বড় ত্রিপাল ১৫০ টাকায় কিনেছি। লকডাউন কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2021 rmcnewsbd
Theme Developed BY Desig Host BD