সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে অন্ধের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি।
এ কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বেড়েছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি সড়কের প্রশস্ততা বেড়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটির কারণে কাজে লাগছে না প্রশস্ত সড়ক। সড়কের মাঝখানে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি না সরানোয় দুর্ঘটনার আশংকা কাটছেনা । মহা বিপদের আশংকা থাকলেও খুঁটি সরানোর উদ্যোগ নেয়নি সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগ।
সরেজমিনে পৌর শহরের আলফাত স্কয়ার থেকে কাজির পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে দেখা যায়, পুরোনো খুঁটিগুলো এখন সড়কের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে আছে। সড়ক বড় হলেও ২০-২৫ টি খুঁটি সড়ক থেকে সরানো হয়নি। এতে ব্যস্ততম এই সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের এসব খুঁটি। খুঁটির কারণে দীর্ঘ যানজটও সৃষ্টি হয়। খুঁটিতে লেগে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই। এছাড়া সড়কের দুই পাশের ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি। সড়কে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলেও খুঁটিগুলো সরানোর উদ্যোগ নেয় নি সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
রিকশা চালক নূর আলম বলেন, ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দ-ায়মান। এতে যান চলাচলে সমস্যা হয়। পথচারীরা যানবাহন চালানোর সময় প্রশস্ত সড়কের সুবিধা পান না। বিদ্যুতের খুঁটি সড়কের একপাশে থাকলে ভালো হয়।
সিএনজি চালক রশিদ আহমেদ বলেন, শহরের কাজির পয়েন্টে ৫-৬ হাত সড়ক খেয়ে বিদ্যুৎ খুঁটির কারণে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সড়ক প্রশস্ত হয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ এর খুঁটির কারণে সড়ক ব্যবহার করতে পারছেন না পথচারীরা।
পথচারী কামরুল হোসেন বলেন, সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। বিদ্যুৎ খুঁটি দ্রুত সরানো জরুরি।
ষোলঘরের বাসিন্দা রিপন চন্দ বলেন, রাতে চলাচলকারী যানবাহনের জন্য এসব খুঁটি মারাত্মক বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগরিকদের সুবিধার্থে পৌর কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ বিভাগ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলেই আশা রাখি।
স্টেশন রোডের দোলন দাশ বলেন, শহিদ মিনার এর উল্টো দিকে একটি খুঁটি, জেল রোডের এখানেও আছে আরেক খুঁটি, রাজগোবিন্দ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে, পৌরসভার সামনে খুঁটিতেও ট্রান্সফরমার রয়েছে। কাজির পয়েন্ট ষোলঘরসহ শহরের ব্যস্ততম সড়কের মাঝামাঝি রয়েছে অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি। এই সড়ক দিয়ে অসংখ্য ট্রাক ঢুকে দিনে রাতে। সড়কের প্রশস্ততা বেড়েছে। কিন্তু প্রায়ই ট্রাক বিদ্যুেেতর খুঁটিতে ধাক্কা লাগে।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লৌহ বলেন, সড়ক প্রশস্ত করণের সময় কয়েক বার বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেছি খুঁটি তোলানোর জন্য। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ খুঁটিগুলো সড়ক থেকে সরানোর উদ্যোগ নেয় নি। আগামী ৩১ মে পৌর পরিষদের সভায় মেয়র মেেহাদয়ের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবো।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান বললেন, ৪ মাস হয়েছে সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসে যোগদান করেছি। সড়ক মেরামত করতে হলে আমাদের কাছে চিঠি পাঠাতে হবে। আমাদের কাছে চিঠি আসলেই আমরা খুঁটি সরানোর কাজ শুরু করবো