সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের বালিউড়া বাজারে একটি চায়ের দোকান থেকে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার নিহত মামুন আলীর মা রুপিয়া বেগম বাদী হয়ে দোয়রাবাজার থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র আশ্রব আলী (৪৫), দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দোয়ারগাঁও গ্রামের আবেদ আলীর পুত্র আমজাদ আলী (২২) সহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামী করে হত্যা মামলার এজাহার দাখিল করা হয়। দোয়ারাবাজার থানার মামলা নং- ১০ তারিখ-২৩/০৭/২০২১ ইং।
পুলিশ জানায়, দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধরের নেতৃত্বে থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাতক থানার চাঁনপুর বাজার হতে আসামী মানিকপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র আশ্রব আলী (৪৫), দোয়ারাবাজার উপজেলার বালিউড়া গ্রাম থেকে দোয়ারগাঁও গ্রামের আবেদ আলীর পুত্র আমজাদ আলী (২২) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সকালে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ঈদের দিন সকালে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের বালিউরা বাজারে আশ্রব আলীর হোটেলের রান্নাঘর থেকে কিশোর মামুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়ার (আগুনে ছ্যাঁকার) দাগ রয়েছে। নিহত মামুন একই উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গোজাউড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র। বালিউড়া বাজারে একটি ভাড়াটে ঘরে স্ত্রী-সন্তানসহ দীর্ঘদিন ধরে কাঁচামালের ব্যবসা করছেন বিল্লাল হোসেন। নিখোঁজের দুদিন পর ঈদের দিন বুধবার সকালে ওই হোটেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী জয়তুন নেছা দুদিন বন্ধ থাকা ওই হোটেলের দরজার তালা খুলে রান্নাঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে মেঝেতে মামুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মৃতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামুন হত্যাকা-ের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোর মামুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া হোটেল মালিক আশ্রব আলী ও কর্মচারী আমজদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।