1. rana.bdpress@gmail.com : admin :
  2. admin@dailychandpurjamin.com : mazharul islam : mazharul islam
  3. rmctvnews@gmail.com : adminbd :
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জে মুক্তিপণে আট মাস পর কিশোরীর মুক্তি

ষ্টফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ

 

 

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী একটি মেয়ে গত ১০ এপ্রিল স্কুলে যাবার পথে অজ্ঞান করে অপহরণ করা হয়।

আট মাস পর বৃহস্পতিবার সকালে এ প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে মেয়েটির ভাই বললেন, আমার বোন যখন ফোন দিয়ে বলে আমাকে বাঁচাও ভাইয়া। টাকা নিয়ে আস, পুলিশ র‌্যাব কাউকে জানাবে না, তখন পরিবারের সকলে এক ধরণের পাগল হয়ে যাই। দুই লাখ টাকায় সাব্যস্ত হয় প্রথম। ওখানে যাবার পর বলে, আরও ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা নেই। এরপর আমার বোনকে কত খারাপ অবস্থায় উদ্ধার করি মুখে বলা যাবে না। আমার বোন বললো, তাকে অপহরণ করার সময় সে এলাকার লায়েছকে কেবল চিনেছে। আর কাউকে চিনতে পারে নি। বুধবার বিকালে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ লায়েছ ও তার পরিবারের লোকজনকে থানায় ডেকেছিল। কি হয়েছে জানি না। তিনি জানালেন, আমরা এই বিষয়ে থানায় মামলা করবো না। কোন অভিযোগও দেই নি। মামলা করবো আদালতে। হাতে একেবারেই টাকা পয়সা নাই। ঋণ করে মুক্তিপণের টাকা দিয়েছি। মামলার টাকা ব্যবস্থার চেষ্টা করছি। দুই তিনের মধ্যেই মামলা করবো। উপজেলার
বীরগাঁওয়ের আমজদ আলীর ছেলে অভিযুক্ত লায়েছ আহমদ কার চালক। তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে বললো, আমাকে বুধবার সন্ধ্যায় শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশও ডেকেছিল। আমার মা- বোন সহ পরিবারের সকলকে নিয়ে থানায় গিয়েছি, আমি পুলিশকেও বলেছি, আপনাকেও বলছি আমি এই ঘটনায় জড়িত নয়। কোনভাবে আমি জড়িত প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় থানায় গিয়ে হাজির হব।

নিখোঁজের প্রায় আট মাস পর নারায়ণগঞ্জের নিষিদ্ধ পল্লী এলাকা থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করলেন মেয়েটিকে (এসএসসি পরীক্ষার্থী)। বুধবার বিকালে মেয়েটি বাড়ি ফিরলেও কারো সঙ্গে কথা বলতে পারে নি। শরীরে একেবারেই শক্তি ছিল না তার। বৃহস্পতিবার বিকালে এ প্রতিবেদককে বললো, ভাই আমাকে বিক্রি করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জে। ওখানে এই কমাস আমার ওপর শারিরিক নির্যাতন হয়েছে। একেক সময় একেক পুরুষ আসতেন। কাউকেই চিনি না। সারাদিনই আমার উপর এমন নির্যাতন হয়েছে।
নির্যাতন করতে করতে আমি যখন একেবারে কথা বলতে পারি না, অসুস্থ্য। আমাকে একটি নম্বর দিয়ে বলা হলো, ওখান থেকে তোর মা-বাপের নম্বর নিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বল। পুলিশ র‌্যাবকে জানালে তোর লাশও পাওয়া যাবে না।
তাদের ফোন থেকেই আমাকে লায়েছ নামের এলাকার একজনের বাড়ির ফোন নম্বর দেয়। এই বাড়িতে আমার ক্লাসমেট একটি মেয়ে আছে। সে আমাকে বললো, আমাদের না ফাঁসালে তোকে সাহায্য করবো। পরে তারা আমার বাড়ির নম্বর দেয়। আমি তাদের বলি তোমরা আমাকে বাঁচাতে হলে টাকা নিয়ে আসো। পরে আমার ভাইসহ পরিবারের লোকজন টাকা দিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন।
কিভাবে, কোথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল জানতে চাইলে ওই শিক্ষার্থী বললো- স্কুলে যাবার সময় বীরগাঁওয়ের চেয়ারম্যান সাহেবের (রাইজুল ইসলাম) বাড়ীর পাশের এলাকায় আমার বান্ধবি নিপার (ছদ্ম নাম) ভাই লায়েছ আহমদ আমাকে ডাক দেয়। কাছে যাবার পর আর কিছুই আমি বলতে পারি না।
একদিন আমাকে দোয়ারাবাজারের দোহালিয়ায় রাখা হয়। পরে তিন-চার দিন সিলেটের কদমতলি এলাকায়। এরপর নারায়ণগঞ্জে বিক্রি করে দেওয়া হয় আমাকে। মেয়েটি বললো, নারায়ণগঞ্জে কিভাবে দিন গেছে, সেটি আর বর্ণণা করতে চাই না আমি।

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2021 rmcnewsbd
Theme Developed BY Desig Host BD